নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ভোলার চরফ্যাশন সিটি প্রাইভেট হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মরিয়াম আক্তার সোনিয়ার রিপোর্টে গর্ভবতী মায়ের পেটের সন্তান মৃত অথচ ওই মা একদিন পর জীবিত সন্তান প্রসব করেছেন। গত রবিবার সন্ধ্যায় চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন সড়কে একটি অ্যাম্বুলেন্সে সন্তান জন্ম দেন দুলারহাট থানার নুরাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. শরিফের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৩)। ভুক্তভোগী ফাতেমা বেগম ও তার পরিবার অভিযোগ করে বলেন, গত শনিবার সকালে প্রসব ব্যথা উঠলে স্থানীয় ধাত্রী নাজমা বেগম প্রাথমিকভাবে নরমাল প্রসবের চেষ্টা করেন। পরে রক্তক্ষরণ দেখা দিলে রাতে চরফ্যাশন সিটি (প্রাইভেট) হাসপাতালের কর্মরত মরিয়ম আক্তার সোনিয়াকে দেখান। দেখালে তিনি আল্ট্রা-স্নোগ্রাম করে প্রেসস্কিপশনে ‘আইইউডি’ অর্থাৎ “গর্ভের ভিতরে সন্তান মৃত” উল্লেখ করে ওই রোগীকে বরিশাল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। গত রবিবার (৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২টায় রোগী ও তার পরিবার চরফ্যাশন উপজেলা সরকারি হাসপাতালে যান। জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক নুর মোহাম্মদ তালুকদার বেসরকারি ক্লিনীকের ডাক্তার মরিয়ম আক্তার সোনীয়ার রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে রোগী না দেখে হাসপাতালে ভর্তির অনুমতি দেন। আবার কেন বা রোগীকে সন্ধ্যা বরিশাল প্রেরণ করেন? চরফ্যাশন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (টিএস) ডা. শোভন বসাক বলেন, মরিয়াম আক্তার সোনিয়া নামক এক ডাক্তারের করা আল্ট্র¯স্নো গ্রামের রিপোর্টে আইইউডি উল্লেখ ছিল। এতে বোঝা যায় ওই মহিলার গর্ভের সন্তান মৃত। টিএসকে প্রশ্ন করা হলে- আপনার হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক রোগী না দেখে কিভাবে ওই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে হাসপাতালে ভর্তি করান উত্তরে বলেন, স্বাভাবিকভাবে রোগীর টাকা খরচের চিন্তা করে ওই রিপোর্টের উপর ভিতি করে চিকিৎসা দিচ্ছেন। আবার তারাই হাসপাতাল ছেড়ে নিয়ে গেছেন। চরফ্যাশন সিটি (প্রাইভেট) হাসপাতালের ডাক্তার মরিয়ম আক্তার সোনিয়ার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকা ওই হাসপাতালের পরিচালক মো. জুয়েল বলেন, বাচ্চার নড়াচড়া ও হার্টবিট না থাকায় রিপোর্টে আইইউডি উল্লেখ করা হয়েছে। মৃত বাচ্চা ধারণা করা হচ্ছে। চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ক্ষতিয়ে দেখব।
Leave a Reply